ঢাকা
বিশ্ববিদ্যালয় । অনেকের সপ্ন , অনেকের আশা আবার অনেকেরই ভালোলাগা । বলা হয় এটি
নাকি প্রাচ্যের অক্সফোর্ড । কিন্তু কে জানতো এমনই এক সনাম ধন্য আর দেশের সবচেয়ে
শীর্ষে থাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নও ফাস হয়ে আসছে কয়েক বছর ধরে ।
হ্যা , ঘটনাটা একদমই সত্য বাংলাদেশি গণমাধ্যম চেনেল 24 এর তিন মসের প্রচেষ্টায় ধরা
পরলো অপরাধী চক্র । রাজধানীর ফার্মগেটের ইন্দিরা
রোডের ৬৭/২ নম্বর বাড়ি । এটি একটি আবাসিক ভবন । এই বাড়িরই নিচের তলায় ছিলো পিপলস প্রিন্টিং প্রেস ।
এখানেই ছাপা হতো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের “ঘ” ইউনিটের প্রশ্ন । তবে এখানে যে একটা
প্রিন্টিং প্রেস রয়েছে তা কেউ জানতনা । এই প্রেসেরই কর্মচারি খান বাহাদূর এবং তার আত্মীয় সাইফুল ইসলাম । রাতে তারা পরীক্ষার জন্য প্রশ্নপত্র
ছাপাত এবং চাপানোর পর নিজের মোবাইলে প্রশ্নের ছবি তুলে নিয়ে বাইরে বেরিয়ে আসত । এই
অপরাধী চক্রের ছিলো এক বিশাল নেটয়ার্ক । তারা শিক্ষার্থী এবং তাদের অভিবাবকদের সাথে
যোগাযোগ করত । পরবর্তিতে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে প্রশ্ন পত্র বিক্রি করতো । গত সোমবার রাতে নাটোরের গুরুদাসপুর থেকে সাইফুলকে গ্রেপ্তার
করেছে সিআইডি। পরে তার দেয়া তথ্যের
ভিত্তিতে বুধবার গভীর রাতে পিপলস প্রিন্টিং প্রেসে অভিযান চালায় সিআইডি। এ সময়
গ্রেপ্তার করা হয় খান বাহাদূরকে। এছাড়াও সংবাদকর্মীগণ এমন অনেক শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলেন যারা কিনা এমন অসৎ
পন্থা অবলম্বন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিল । আজ এমন জ্বালিয়াতি চক্র ধরা
পড়েছে । কিন্তু দেখা যাবে কেয়েকদিন পরে আবার লোক চোক্ষের আড়ালে জন্ম নিয়েছে এমন
হাজারো সিন্ডিকেট ।
শত শত শিক্ষার্থী এখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ছে যাদের কোনো যোগ্যতাই নেই ।
শুধু তাই নয় তাদের আবার ভালো ভালো বিষয় নিয়েও পড়ালেখা করার সুযোগ হয়েছে । কিন্তু
এমন দুর্নীতির জন্য দেশের শত শত মেধা আজ বেকার পড়ে আছে । যারা কিনা ঢাকা বিশ্ব
বিদ্যালয়ে পড়ালেখা করার সর্বোচ্চ যোগ্যতা রাখে । আমরা কেউই এমন ধরনের জ্বালিয়াতি
সমর্থন করিনা । সরকার কি পারবে দেশকে বাচাতে । দেশের ভবিষ্যত সম্ভাবনা কি রক্ষা
পাবে এমন ধংস যজ্ঞ থেকে ?
আরো জানতে এখানে ক্লিক করুন ...
Tags:
press