বর্তমানে বাংলাদেশের সৃজনশীল শিক্ষা ব্যাববস্থার দুটি
প্রধান অংশ রয়েছে । এর একটি হলো সৃজনশীল প্রশ্ন এবং অন্যটি হলো বহু নির্বাচনী বা
নৈব্যর্তিক । তবে বহুনির্বাচনী প্রশ্নগুলো যেন সৃষ্টিকর্তার আশীর্বাদের
মত । এগুলো থেকে অতি সহজেই কম পরিশ্রমে অধিক নাম্বার পাওয়া যায় । তবে অনেক
শিক্ষার্থীদের কাছেই এটা একটা ভীতিকর বিষয় । আর যারা মুখস্থ বিদ্যায় একেবারেই আগ্রহী
নয় তাদের কাছে ভীতিটা যেন আরো বেশি । কারণ পরীক্ষায় পাঠ্য বইয়ের কোন কনা থেকে
প্রশ্ন চলে আসে তা একেবারেই বলা যায়না । তাই বারবার পুরো বইটা পড়তে হয় । অনেকে
আবার সহায়ক বই বা গাইডে দেওয়া বহুনির্বাচনী প্রশ্ন গুলো মুখস্থ করার চেষ্টা করে ।
কিন্তু তাতে খুব একটা সুবিধা হয়না । কারণ সেগুলো পরীক্ষার দিন পর্যন্ত মাথায় ধরে রাখা বা মনে রাখা
সম্ভব হয়না । কিন্তু আমরা যদি এই বিষয়টা একটু বুঝে বা একটু গুছিয়ে নিয়মিত চর্চা
করি তাহলে হয়তো ভালো নাম্বার পাওয়া কোনো কঠিন বিষয় হবেনা । কিন্তু কিভাবে পড়লে
ভালো হয় ? অনেকে অনেক ভাবে এই বিষয়টা চর্চা করে । কেউ বারবার পাঠ্য বই পড়ে এবং
গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো কলম দিয়ে দাগ দিয়ে রাখে আবার কেউ সহায়ক বই পড়ে । যার যেভাবে
ভালো মনে হয় সেভাবেই পড়া উচিত । তবে আমরা এই নিয়মটি যদি অনুসরণ করি তাহলে জিনিসটা
আরো সহজ হয়ে হবে ।
এই নিয়মটি অনুসরেন পূর্বে আমাদের অবশ্যই পাঠ্য বইটা
সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকতে হবে । অর্থাৎ যেকোনো প্রশ্নের সঠিক উত্তর বইয়ের কোন অধ্যায়ে
থাকতে পারে বা কোথায় থাকতে পারে তা সম্পর্কে সঠিক ধারণা থাকতে হবে ।
আমরা জানি যে , MCQ প্রশ্ন সমূহের চারটি অপশন থাকে এবং
উপযুক্ত অপশনটা অর্থাৎ সঠিক উত্তরটা বেছে নিয়ে বৃত্ত ভরাট করতে হয় । ধরা যাক আমি
আজ দশম শ্রেনীর বাংলা ২য় পত্রের বহুনির্বাচনী প্রশ্ন পড়ব । এই উদ্দেশ্যে যেকোনো
সহায়ক উৎস থেকে নিচের ছবির মতো একটা বহুনির্বাচনী প্রশ্ন নিলাম ।
ধরা যাক, আমি এক নাম্বার প্রশ্নটার সঠিক উত্তর নিশ্চিত ভাবে
জানি । তাহলে সঠিক উত্তরের পাশে টিক চিহ্ন দিলাম । কিন্তু ২ নং প্রশ্নের সঠিক
উত্তর জানিনা বা নিশ্চিত ভাবে জানিনা । এক্ষেত্রে আমি আমার পাঠ্য বইয়ে চলে যাই এবং
সঠিক উত্তরটা খুঁজে বের করি এবং শুধু তাই নয় সঠিক উত্তরটা যে পেরায় আছে সেটাও একটু
পড়ে নেই । আর তার আগের বা পরের কোনো পেরায় যদি গুরুত্বপূর্ণ কোনো তথ্য আছে বলে মনে
হয় তবে সেটাও পড়ে নেই । এভাবে সবগুলো MCQ প্রশ্ন সমাধান করি । আর যেটা পাচ্ছিনা বা
আমি পারছিনা সেটা শ্রেণী শিক্ষকের কাছ থেকে জেনে নেই । এভাবে একটা
প্রশ্ন সমাধান করলেই পুরো বইটার একবার পড়া হবে । আর প্রতিদিন কয়েকটা প্রশ্ন সমাধান
করলে সম্পূর্ণ পাঠ্য বইয়ের প্রায় সবগুলো বিষয়ের উপর ধারণা হবে । এভাবে
চর্চা করলে ভুলে যাওয়ার সম্ভাবনাও কম থাকবে আর মুখস্থও করতে হবে না ।
তবে এই নিয়মটিই যে অনুসরণ করতে হবে তার কোনো বাধ্য বাধকতা
নেই । যার যেমন ভাবে পড়তে ভালো লাগে সেভাবেই পড়া উচিত । তবে
অবশ্যই তা হতে হবে গুছিয়ে এবং বুঝে ।
[মো : সুয়েজ ]