“করোনা” একটি লাতিন শব্দ যার অর্থ ‘মুকুট’ বা “হার”। করোনাভাইরাসের আকৃতি গোলাকার এবং ব্যাস ১২০ ন্যানোমিটারের
মতো । এর গোলাকার পৃষ্ঠে অভিক্ষেপের মতো অসংখ্য স্পাইক বা মুকুট ছড়িয়ে থাকে বিধায়
এর নামকরণ করা হয়েছে “করোনাভাইরাস” । এখানে শুধু উক্ত ভাইরাস এর বায়োলোজিক্যাল গঠন নিয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করা
হবে।
সকল প্রজাতির করোনা ভাইরাসের আকৃতি সাধারণত গোলাকার হয়ে থাকে।
অন্যান্য যেকনো ভাইরাসের তোলনায় এরা বেশ বড় হয়ে থাকে ।এরা সকলেই আর এন এ ভাইরাস ।
অর্থাৎ এদের বংশগতিয় বস্তু হিসাবে আর এন এ বিদ্যমান থাকে । বেশিরভাগ ভাইরাসের মতই
এদের দেহে বহিস্ত আবরণ বা এনভেলপ রয়েছে । এনভেলপটি মূলত প্রোটিন (এম-প্রোটিন) নির্মিত
হয়ে থাকে । এর পর রয়েছে ক্যাপসিড বা মেম্ব্রেন । অসংখ্য প্রোটিন গঠিত ক্যাপসোমিয়ারের
সমন্বয়ে এদের ক্যাপসিড নির্মিত হয় । এদের বহিস্থ আবরণ এবং মেম্ব্রেন মূলত অভ্যন্তরস্থ বংশগতীয়
বস্তুকে সুরক্ষা প্রদানের কাজ করে । এছাড়াও এরা পোষক দেহে সংক্রমনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন
করে । করোনাভাইরাস বা কোভিড-১৯ এর একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো স্পাইক
বা মুকুট । এদের দেহের গোলাকার পৃষ্ঠে গ্লাইকোপ্রোটিন নির্মিত অঙ্গুলির ন্যায় অসংখ্য
স্পাইক বা মুকুট দেখতে পাওয়া যায় । এগুলোই প্রকৃতপক্ষে ভাইরাস দেহকে রিসেপ্টর কোষের
সাথে সংযুক্ত হতে সহায়তা করে । ভাইরাসটির এনভেলপের উপর আরো একধরনের স্পাইক জাতীয় পৃষ্ঠ-প্রোটিন
দেখতে পাওয়া যায় । একে হিমাগ্লুটিনিন-এস্টারেজ বলা হয় । এই পুরো সুরক্ষা আবরণে আবৃত
গহবরের অভ্যন্তরে রয়েছে একসূত্রক পেঁচানো আর এন এ । এটিই আসলে এই ক্ষুদ্র অনুজীবটির
প্রাণ ।
Tags:
My Articles
gd
ReplyDeleteHi there, I discovered your blog per Google bit searching for such kinda educational advise moreover your inform beholds very remarkable for me.
ReplyDelete